নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ: সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ
নেপালে সম্প্রতি সরকার Facebook, WhatsApp, X (Twitter) সহ মোট ২৬টি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করে। সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজ—বিশেষ করে Gen Z প্রজন্মের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। কাঠমান্ডু ও অন্যান্য শহরে কয়েক হাজার তরুণ রাস্তায় নেমে আসে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মুহূর্তেই রূপ নেয় সহিংসতায়। পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
INTERNATIONAL DESK
9/8/20251 মিনিট পড়ুন


নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ: সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ
---
ঘটনার পটভূমি
নেপালে সম্প্রতি সরকার Facebook, WhatsApp, X (Twitter) সহ মোট ২৬টি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করে। সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজ—বিশেষ করে Gen Z প্রজন্মের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়।
কাঠমান্ডু ও অন্যান্য শহরে কয়েক হাজার তরুণ রাস্তায় নেমে আসে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মুহূর্তেই রূপ নেয় সহিংসতায়। পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
---
সহিংসতার ফলাফল
বিক্ষোভ দমনে গুলি ও বলপ্রয়োগে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়।
শতাধিক তরুণ গুরুতর আহত হয়।
অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কারফিউ জারি করে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নেপালের রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক নিহতদের ঘটনায় গভীর নৈতিক দায় স্বীকার করে নিজের পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তিনি বলেন—
> “মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় আমি নৈতিকভাবে দায়ী। তাই পদে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ান
১. সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা তরুণ সমাজের মৌলিক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছে।
২. Gen Z আন্দোলন শুধু প্রযুক্তি নয়, রাজনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এক প্রতীকী অবস্থান নিয়েছে।
৩. নিহতের ঘটনায় সরকারের প্রতি জনঅসন্তোষ আরও বেড়েছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগে প্রশাসনিক ব্যর্থতা
নেপালের বর্তমান সংকট কেবল সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা নয়—এটি তরুণ প্রজন্মের অসন্তোষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্নও সামনে এনেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ হয়তো সাময়িকভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে নেপালের গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক স্থি
তিশীলতা কোন দিকে যাবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।